পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরমুখো মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে ঢল নেমেছে খাগড়াছড়ির দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে। তবে উৎসবের এই আমেজে ছায়া ফেলেছে অতিরিক্ত ভাড়ার চাপ। জেলার সদর, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এত হয়রানির মুখে পড়ছেন অনেকেই। কাউন্টার কতৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন এগুলো তাদের।সিরিয়ালের বাহিরে গাড়ি তাই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছুটি শেষ হওয়ার পরপরই কাউন্টারগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন যাত্রীরা। অনেকে এক কাউন্টার থেকে আরেকটিতে ঘুরেও ফিরছেন খালি হাতে। এই সুযোগে কিছু অসাধু পরিবহন মালিক যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া—দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে টিকিটে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নয়ন নামে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাড়ি মাটিরাঙ্গা। স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ১প০ টাকা, এখন নিচ্ছে ২৫০ টাকা। ঈদ এলেই এই চিত্র দেখা যায়— দেশে পরিবর্তনের জন্য এতো কিছু হলো, তারপরও একই অবস্থা।
তাছাড়া প্রশাসনের তেমন দায়িত্ব দেখা যয়না।
বিভিন্ন যাত্রীর অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় পরিবহন মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তবে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করছেন, যাত্রীর চাপ বেশি ও ট্রিপ সংখ্যা কম হওয়ায় ভাড়া কিছুটা বেড়েছে।
জনসাধারণের এই ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে প্রশাসন যতক্ষণ সামনে থাকে ততক্ষণ কম নেয়। প্রশাসন সরে গেলে তারা আবারও যাত্রী হয়রানি করতে থাকে।